আমাদের মস্তিস্ক যেমন দেহের সকল কাজ পরিচালনা করে, ঠিক তেমনি একটি হ্যান্ডসেটের ও চিপসেট বা প্রসেসর এর দ্বারা সমস্ত কাজ পরিচালিত হয়। আপনি বেশি র্যামের ফোন কিনলেই যে ভালো পারফরম্যান্স পাবেন এমনটা কিন্তু নয়। ভালো পারফর্মেন্স তখনই পাবেন যখন আপনার ফোনে র্যামের পাশাপাশি প্রসেসরটি ও শক্তিশালী হবে।
Cool & Stylish Profile DP | Boys DP for WhatsApp & Facebookতাই কোন ব্র্যান্ডের প্রসেসরটি সবথেকে ভালো তা নিয়ে আমাদের কৌতূহলের শেষ নেই, তো চলুন দেখে নিই আপনার ফোনে এইমুহূর্তে কোন ধরণের প্রসেসর ব্যবহার করা হয়।
Qualcomm Snapdragon :
এই স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসরটি মূলত একটি আমেরিকান কোম্পানি তৈরি করে থাকেন এই মুহূর্তে লো বাজেট ও হাই বাজেট ফোনের জন্য সবচেয়ে ভালো প্রসেসর হিসাবে মানা হয় স্ন্যাপড্রাগনকে। স্ন্যাপড্রাগন এর সব থেকে আলোচিত এবং জনপ্রিয় সিরিজ হচ্ছে ৮০০, ভালো গেমিং ভিডিও এক্সপেরিয়েন্স অডিও ইত্যাদি দেখার ক্ষেত্রে খুবই ভালো একটা অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।
Samsung Exynos :
এই প্রসেসরটি তৈরি করেন মূলত স্যামসাং নিজেই, আর এন্ড্রয়েড ফোনের জন্য এই প্রসেসরটি মোটামুটি বেশ জনপ্রিয় ,আপনি কোয়াড কোর এবং অক্টা কোর দুটো ভ্যারিয়েন্টেই একে পাবেন। স্ন্যাপড্রাগন আলাদা হওয়ার কারণে স্যামসাং খুবই চেষ্টা করছি প্রসেসর টিকে আরও উন্নত করার, এবং এটাও শোনা যাচ্ছে তাদের পরবর্তী S সিরিজ ফোনগুলোতে এক্সিন্যু প্রসেসর ব্যবহার করতে পারে।
Mediatek :
এটি একটি সস্তা প্রসেসর বলেই পরিচিত, তাইওয়ানের তৈরি এই প্রসেসরটি বিশ্বের সব থেকে সস্তা প্রসেসর এর মধ্যে একটি, কারণটা খুবই সিম্পল খুবই লো বাজেট স্মার্টফোনে এই প্রসেসরটি ব্যবহার করা হয়। অনেকে আবার অভিযোগও করেন মিডিয়াটেক প্রসেসর টি নাকি একদম ভাল না, কিন্তু এটা আসলেই মিথ্যা, আপনার ফোনের বাজেটের দিকে তাকালে এই প্রসেসরটি যথেষ্ট ভালো পারফর্মেন্স দিবে এমনকি কোম্পানি MediaTek Helio G90 সিরিজ এনেছে, যেটি যথেষ্ট শক্তিশালী এবং রিসেন্টলি শাওমি রেডমি নোট এইট প্রো তে এই প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে।
Apple Bionic:
অ্যাপল তাদের ফোনের জন্য এই প্রসেসর তৈরী করে। এবছরে অ্যাপল বায়োনিক ১৩ এনেছে। যাকে কোম্পানি এইমুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রসেসর বলে দাবি করেছে।
This post is helpful for me
উত্তর দিনমুছুন